BCS সংক্ষিপ্ত সাধারণ জ্ঞান pdf download (free)

নাম:- BCS সংক্ষিপ্ত সাধারণ জ্ঞান pdf download
লেখকঃ- মান্না দে।
BCS সংক্ষিপ্ত সাধারণ জ্ঞান pdf সাইজ:- 15MB
BCS সংক্ষিপ্ত সাধারণ জ্ঞান বইয়ের প্রথম কিছু ভালো:-
বিসিএস সাধারণ জ্ঞান বইটির বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ও ভূগােলের বাজারে প্রচলিত বইগুলােতে কতােটা অপ্রয়ােজনীয় আলােচনা আছে তা বিসিএস ভাইভা যারা দিয়েছেন কেবল তারাই বুঝতে পারবেন।
নিজেদের অভিজ্ঞতার আলােকে উপযুক্ত বিষয়ে অপ্রয়ােজনীয়তা দূর করে নতুন প্রার্থীদের জন্য একটি গােছানাে BCS সংক্ষিপ্ত সাধারণ জ্ঞান বই প্রকাশের চেষ্টা করেছি মাত্র। যেহেতু BCS সংক্ষিপ্ত সাধারণ জ্ঞান বইটির মাত্র ২য় প্রকাশ, তাই সবার সহযােগিতা কামনা করছি।
বিসিএস প্রস্তুতির একটা বড় অংশ হলাে বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক ও ভূগােল। প্রিলিমিনারী, লিখিত ও ভাইভাতে এ বিষয়গুলাের মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য চাকরির পরীক্ষায়ও উপযুক্ত বিষয়গুলাে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়গুলাে সবাই পড়েন ঠিকই, কিন্তু মনে থাকেনা, সম্ভবত এর অন্যতম কারণ গঈছ। আমরা তিনটি বিষয়ের কয়েকটি মৌলিক বইয়ের প্রয়ােজনীয় অংশ এখানে গুছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি, এমসিকিউতে না করার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রার্থীরা লাইন বাই লাইন পড়ে যেন মনে রাখতে পারেন।
আশকরি এত অল্প পৃষ্ঠায় বেশি তথ্যের বই বাজারে আর নেই। সকল নিয়ােগ পরীক্ষাসহ লিখিত এবং ভাইভাতেও বইটি আপনাকে সহযােগিতা করবে বলে আশা করি।
বিসিএস এর বিভিন্ন পর্যায়ে বইটির গুরুত্ব:
প্রিলিমিনারী : বাংলাদেশ বিষয়াবলী : ৩০ নম্বর
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী : ২০ নম্বর।
ভূগােল ১০ নম্বর।
লিখিত: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী: ৩০০
ভাইভা: মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভূগােল, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলাে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা চেষ্টা করেছি মােটামুটি মানসম্মত একটি গোছানাে বই আপনাদের হাতে তুলে দিতে, দ্বিতীয় প্রকাশে বইটি প্রায় নির্ভুল বলা যায়। এর পরও সাধারণ জ্ঞানের বইয়ে ভুল খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। যে কোন ধরণের গঠনমূলক সমালােচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জনপদগুলাের মধ্যে প্রাচীনতম হল পুণ্ড। > ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে সর্বপ্রথম বঙ্গ’ শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। মােগল সম্রাট আকবরের সভাকবি আবুল ফজল তাঁর ‘আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে সর্বপ্রথম দেশ বাচক বাংলা শব্দ ব্যবহার করেন। তিনি বাংলা নামের উৎপত্তি সম্পর্কে দেখিয়েছেন যে, এদেশের প্রাচীন নাম ‘বঙ্গ এর সাথে বাধ বা জমির সীমানা সূচক ‘আল’ প্রত্যয়যােগে বাংলা শব্দ গঠিত হয়।
প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলাে কলহনের লেখা ‘রাজতরঙ্গিনী। মৌর্য আমল থেকে শুরু করে পরবর্তী অনেক ঘটনা বিশেষ করে কাশ্মীরের রাজাদের কাহিনি বিস্তারিত বর্ণনা লেখক এই গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
পাণিনির গ্রন্থে সর্বপ্রথম গৌড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। কালিদাসের গ্রন্থে বঙ্গ’ জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীন শিলালিপিতে ‘বিক্রমপুর ও নাব্য’ নামে বঙ্গের দুটি অঞ্চলের নাম পাওয়া যায়।
বর্তমান ফরিদপুর, বরিশাল ও পটুয়াখালীর নিম্ন জলাভূমি ছিল ‘নাব্যের অন্তর্ভুক্ত। পুদের রাজধানীর নাম ছিল পুণ্ড্রনগর। পরবর্তীকালে এই পুণ্ড্রনগরই মহাস্থানগড় (পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানী) নাম ধারণ করে। ১৮৭৯ সালে প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্যের ঐতিহাসিক নিদর্শণ আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ প্রত্মতত্ত্ববিদ আলেক জান্ডার কানিংহাম।
সমতটের রাজধানী ছিল বড় কামতা আলেকজান্ডার আলেকজান্ডার জাতিতে ছিলেন আর্য গ্রীক। তিনি ছিলেন ম্যাসিডনিয়ার রাজা ফিলিপসের পুত্র।
বাল্যকালে তিনি প্রখ্যাত গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটলের নিকট গৃহশিক্ষা লাভ করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩৫ খ্রিস্টাব্দে ফিলিপসের মৃত্যু হলে আলেকজান্ডার ম্যাসিডনিয়ার সিংহাসনে আরােহন করেন। আলেকজান্ডার খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন।
খ্রিস্টপূর্ব ৩২৫ অব্দে ব্যাবিলনে তাঁর মৃত্যু হয়। আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য উপমহাদেশে গ্রীক প্রাধান্যের অবসান ঘটান। সক্রেটিসের ছাত্র ছিলেন প্লেটো, প্লেটোর ছাত্র ছিলেন এরিস্টটল এবং এরিস্টটলের ছাত্র ছিলেন আলেকজান্ডার।
বাংলায় মৌর্য যুগ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সাম্রাজ্যের নাম মৌর্য সাম্রাজ্য। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য খ্রিস্টপূর্ব ৩২১ অব্দে মগধের সিংহাসনে আরােহণের মাধ্যমে ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ভারতের প্রথম সম্রাট, পাটালিপুত্র ছিল তাঁর রাজধানী। চাণক্য ছিলেন তাঁর প্রধানমন্ত্রী।
চাণক্যের ছদ্মনাম ছিল কৌটিল্য, যা তিনি তাঁর বিখ্যাত সংস্কৃত গ্রন্থ ‘অর্থশাস্ত্র’ তে গ্রহণ করেছেন। তিনি আলেকজান্ডারের সেনাপতি সেলিউকসকে পরাজিত করে উপমহাদেশ হতে গ্রীকদের বিতাড়িত করেন।