লোকে কি বলবে pdf download

নাম:- লোকে কি বলবে pdf download
লেখক:- আয়মান সাদিক ও সাকিব বিন রশীদ।
লোকে কি বলবে pdf download পৃষ্ঠা:- ১৩৫.
সাইজ:- ৭০ এম্বি।
লোকে কি বলবে pdf download বইয়ের প্রথম কিছু অংশ:-
তুমি এত প্রশ্ন করাে কেন?
আপু, আকাশ নীল কেন?
তাইয়া, ইন্টারনেট কীভাবে চলে?
আপু, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট কেন? ও তাে পচা লােক।
শিশুদের প্রশ্নের সামনে আমরা কত অসহায়। ওরা এত অদ্ভুত প্রশ্ন করে যে অনেক সময় তার উত্তর আমাদের জানা থাকে না, আবার অনেক সময় ওকে বুঝিয়ে বলার মতাে ধৈর্যও আমাদের থাকে না। তবে বেশির ভাগ সময়ই আমরা ভাবি ও তাে এগুলাে কিছু বুঝবে না। তাই তাদের বােঝানাের চেষ্টাও করি না। বরং উল্টো ওকে এত প্রশ্ন করাে কেন?’ বলে ঝাড়ি মেরে বসিয়ে দিই। লোকে কি বলবে pdf download
আমরা যতটুকু মনে করি, আমাদের শিশু-কিশােররা তার থেকে অনেক বেশি বােঝে। আমার বােনের ছেলের বয়স যখন ৩ বছরেরও কম, ও আমাকে ব্রেক-আপ কাকে বলে, কীভাবে হয়, কেন হয় বুঝিয়ে বলেছিল।
আমার এক কলিগ ফোনের কোনাে অ্যাপ বুঝতে না পারলে তার মেয়ের কাছে নিয়ে যায়। তার মেয়ের বয়স সাড়ে ৫ বছর। আবার ভেবে দেখুন, আমরা আমাদের বােঝানাের অক্ষমতাকে ওরা বুঝবে না’ বলে চালিয়ে দিচ্ছি না তাে? আলবার্ট আইনস্টাইন কিন্তু বলেছেন, যদি আপনি কোনাে কিছু একজন ৬ বছর বয়সীকে বুঝিয়ে বলতে না পারেন, তাহলে আপনি নিজেই তা ভালােমতাে বােঝেন না। তাই ‘তুমি বুঝবে না’ বলার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন,
‘আমি ঠিকমতাে বােঝাতে পারছি তাে?’
শিশুদের মধ্যে প্রশ্ন করার প্রবণতা বুদ্ধিমত্ত ও সঠিক মানসিক গঠনের লক্ষণ। ও প্রশ্ন করছে, মানে ও শিখতে ঢাচ্ছে, জানতে ঢাচ্ছে, এই পৃথিবীর কঠিন নিয়মগুলাে বুঝতে চাচ্ছে। চিন্তা করুন, এই বাচ্চাটা ফুলে যখন পড়াশােনা করে, তখন ও শুধু মুখস্থ করে পাস করার চেষ্টা করে না। ও সত্যি সত্যি শেখার জন্য পড়াশােনা করে।লোকে কি বলবে pdf download link !
আর সে জন্যই প্রশ্ন করে। কিছুই না বুঝলে কিন্তু প্রশ্ন করার কথা। চিন্তা করুন, প্রশ্ন করলে বন্ধুরা খেতে পারে, এটা জেনেও কী পরিমাণ সাহস নিয়ে সেই বাচ্চাটা ক্লাসে হাত তােলে, ‘স্যার, একটা কোয়েশ্চেন।’
তখন যদি সেই স্যার তাকে বকাঝকা করে বসিয়ে দেন, তাহলে সেটা সেই বাচ্চাটার মেধা আর মননের প্রতি কী ভয়ংকর অন্যায় ! সেই বাচ্চাটা কি এরপর আর প্রশ্ন করার সাহস পাবে? ওই ক্লাসের আর কেউ কি প্রশ্ন করার সাহস পাবে? দিনশেষে সেই ক্লাসের, সেই স্কুলের আর আমাদের সময় দেশের বাচ্চারা যে কোনাে প্রশ্ন না করে, বােঝার চেষ্টা না করে মুখস্থ করে যাচ্ছে, তার পেছনে এত প্রশ্ন করাে কেন?’ এই কথাটা কি অনেকাংশেই দায়ী না?
আপনি শিশুটির শিক্ষক হন, অভিভাবক হন বা বড় ভাইবােন হন, আপনার কাছে আমার একটা অনুরােধ, ওকে প্রশ্ন করার সুযােগ দিন। প্রশ্ন করা ওকে স্বাবলম্বী ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলবে। ওকে যদি কেউ ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিপথে নেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে ও তাকে প্রশ্ন করে আটকে দিতে পারবে। ওকে যদি কেউ ঠকাতে ঢায় তাহলে ও প্রশ্ন করে নিজের দাবি আদায় করে নিতে পারবে।লোকে কি বলবে pdf download !
আর যদি আপনি ওকে প্রশ্ন করতে না শেখান, ওকে যা করতে বলা হবে, ওকে যা বােঝানাে হবে ও সবই মেনে নেবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আপনি সঠিকভাবে দিতে পারবেন এমন না। তবে চেষ্টা করতে ক্ষতি কী? ধৈা নিয়ে ওর প্রশ্নটা শুনুন আর উত্তর করার চেষ্টা করুন।
উত্তর মাদি না জানা থাকে তাহলে ওকে ভুলভাল বুঝিয়ে দেবেন না। এতে ও আরও বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। এর থেকে ওকে বলুন, “আমি তাে এটা জানি না ভাইয়া, আমি কালকে জেনে এসে তােমাকে জানাই?”
ও কিন্তু ঠিকই আপনার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করবে। আর আপনি যদি সত্যি সত্যি ওর প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে পরদিন হাজির হন, তাহলে ও রাতারাতি আপনার ভক্ত হয়ে যাবে। কাজটা কি খুব কঠিন? মােটেই না।
লোকে কি বলবে pdf download ? ভেবে যারা কোনাে প্রশ্ন করছেন না, তাদের বলি, প্রশ্ন করার একটা খুবই ভালাে দিক হচ্ছে, নিজের ব্র্যান্ডিংয়ের সুযােগ। কোনাে ইভেন্ট, মিটিং কিংবা সেমিনারে যখন কেউ প্রশ্ন করার জন্য হাত তােলে এবং সঠিক প্রশ্নটি করে তখন সবার মনােযােগ ওই মানুষটার দিকে ঢলে যায়।
ওই ইভেন্টের স্পন্সরের কথা যতজনের না মনে থাকবে তার চেয়ে বেশি আপনার কথা মানুষের মনে থাকবে। ইভেন্টের স্পন্সর কিন্তু কয়েক লাখ টাকা খরচ করে ব্র্যান্ডিং করছে। একবার ভাবুন আপনার কত টাকার সেলফ ব্র্যান্ডিং হয়ে গেল। তাও আবার বিনা খরচে। যারা আপনাকে প্রশ্ন করা নিয়ে টিটকারি দিচ্ছে, দেখবেন তারা নিজেরাই ওই ক্লাস বা সেমিনার থেকে কিছু না বুঝে বা অর্ধেক জ্ঞান নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
আর তারা মনে মনে চাচ্ছে যে আপনিও তাদের দলে ভিড়ে যান, আর শুধু বােকার মতাে মাথা নেড়ে ক্লাস শেষ করুন। এখন আপনিই ঠিক করুন, ওই মানুষগুলাের সাময়িক টিটকারি সহ্য করবেন, নাকি ওই ক্লাসের বিষয়বস্তু না বুঝে নিজের ক্ষতি করবেন।
যেই অল্পবয়সীরা এ লেখাটা পড়ছ তাদের বলছি, প্রশ্ন করা থামিয়ে দিয়াে না। যে যা-ই বলুক, এই প্রশ্নই তােমার সুপার পাওয়ার।
অনেক প্রশ্নই আছে, যেগুলাের উত্তর তােমাকে কেউ দিতে পারবে না। আর সেই প্রশ্নগুলাের উত্তর খুঁজতে গিয়েই তুমি হয়ে উঠবে স্টিফেন হকিন্সের মতাে বিজ্ঞানী, ওয়াসফিয়া নাজরিনের মতাে দুঃসাহসিক অভিযাত্রী বা নিল আর্মস্ট্রংয়ের মতো মহাকাশচারী।
ভালাে থেকো তােমরা, আর ভালাে থাকুক তােমার বিশ্ব বদলে দেওয়া প্রশ্নগুলাে।লোকে কি বলবে pdf download link!
“He who asks is a fool for five minutes, but he who does not ask remains a fool forever.” –
Mark Twain
এই পিচ্চি!
শিশুশ্রম আমাদের দেশে খুবই অপ্রিয় একটি বাস্তবতা হলেও এটাকে আইন করে বন্ধ করে দেওয়ারও উপায় নেই। অনেক শিশুই আছে যারা কাজ না করলে তাদের ক্ষুধার্ত থাকতে হবে। তবে, এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়েও আমরা ওদের জীবনটাকে আরেকটু সুন্দর করতে পারি। এবং এর শুরুটা হতে হবে আমাদের আচরণ থেকে। লোকে কি বলবে pdf download link
কোনাে হােটেলের বয় বা বাস-চেঁপাের হেলপার ভার্সিটির ফুল বিক্রেতা যখন একটু কম বয়সী কোনাে ছেলে বা মেয়ে হয় তখন তাদের প্রতি আমাদের আচরণটা একটু অদ্ভূত হয়। আমরা খেয়াল করি না, কারণ আমরা মনে মনে ভাবি এ রকমই তাে হওয়ার কথা।
আপনি যখন আপনার কোনাে বন্ধুর সন্তান বা ছােট ভাইবােনকে প্রথমবারের মতাে দেখেন, তখন তাকে ‘পিচ্চি’ বা ‘ছােটু’ বলে ডাক দেন? বা ওকে শিস দিয়ে ডাকেন? কিন্তু যখন আমরা এই সব কর্মজীবী শিশুকে ডাক দিই আমরা কিন্তু এই শব্দগুলােই ব্যবহার করি। আপনি আপনার অপরিচিত কোনাে শিশুকে ‘তুই’ বলে সম্বােধন করেন? অথচ বাসের হেলপার হােটেলের বয়কে কিন্তু প্রায়শই আমরা ‘তুই’ ডাকি।
শুধু সম্বােধন না, ওদের সাথে কথাবার্তাও কেমন যেন রুক্ষ হয়। ফুল বিক্রি করা মেয়েটাকে যা, তাগ এইখান থেকে, টেম্পাের হেলপার ছােট ছেলেটা একটু বেশি ভাড়া ঢাইলে এই বয়সে চুরি শুরু করছস?’ এ ধরনের নানা কথা আমাদের নিজের কানে শােনা। আমরা হয়তাে এই কথাগুলাে কিছু না বুঝেই বলি।
অথচ চিন্তা করুন, এই বাচ্চাটা জীবনে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে একদিন বড় হবে। এই সমাজে আমাদের মতাে যত মানুষ আছে তাদের প্রতি একটা ঘৃণা নিয়ে বড় হবে। ওর মনের মধ্যে থেকে যাবে।
যে এই সমাজের লােক সব সময় ওকে অপমান আর অবজ্ঞা করে এসেছে। কেউ এর প্রতিশােধ নিতে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়বে, কেউবা নিজেই রুক্ষ একটা মানুষ হয়ে উঠবে আর ওর আশপাশের মানুষের সাথেও খারাপ ব্যবহার করবে।
অর্থাৎ প্রতিটি শিশুর সাথে আপনি যখন রুক্ষ আচরণ করেন, তখন আপনি ভবিষ্যতের একজন বদমেজাজী মানুষের জন্ম দেন।
অথচ এর সমাধানটা কিন্তু খুব সহজ। আমার বন্ধু ইয়াসিন আমাকে খুব সহজ একটা পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছে। ও কোনাে হােটেলে এ রকম কোনাে শিশুশ্রমিককে দেখলে বলে, “এই যে বাবু, শােনাে তাে।
বাচ্চাটা খুব অবাক হয়ে কাছে আসে। ইয়াসিন আবার জিজ্ঞেস করে, “তােমার নাম কী?’ এই পর্যায়ে বাচ্চাটা হেসে দেয়। নরম করে নামটা বলে, ইব্রাহিম। ইয়াসিন বলে ‘ইব্রাহিম, এককাপ চা নিয়ে আসে তাে আমার একদিন বড় হবে।
বিশ্বাস করুন, ছেলেটা খুব খুশ মনে ঢা আনতে যায়। এটা ওর কাছে আর কাজ মনে হয় না, মনে হয় আপন কেউ ঢ খেতে চেয়েছে, তাকে ঢা খাওয়াতে হবে। খাবার অর্ডার করার পর ইব্রাহিমকে কয়েকবার নাম ধরে ডেকে এটা-ওটা ঢাওয়া হলাে। ও একদম বিরক্ত হলাে না।
বরং যে কয়বার ওর নাম ধরে ডাকা হলাে, ওর চােখ-মুখে একটা ঔজ্জ্বল্য দেখলাম। ওকে নাম ধরে ডাকলে ও এত খুশি হয় কেন জানেন? ওর নামটা ওকে একটা পরিচয় দেয়। একটা আত্মমর্যাদা দেয়। খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও ওর মনে হয় ও একজন হােটেল বয়ের থেকে বেশি কিছু, একজন শিশুশ্রমিকের থেকে বেশি কিছু। ও ইব্রাহিম। ওর নিজের একটা পরিচয় আছে। লোকে কি বলবে pdf download link
লোকে কি বলবে pdf download link :- আমাদের পথশিশুরা, আমাদের শিশুশ্রমিকেরা একটু শিক্ষা পেলে ভালাে মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে। ওরাও ভবিষ্যতের দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠতে পারে। আর আমার আর আপনার ভালােবাসা পেলে ওরা ‘পিচ্ছি’ বা ‘ছােট’ না হয়ে একেকজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে।
একটা বাড়তি টিপস: আপনি যদি সবার প্রিয় হয়ে উঠতে চান, তাহলে এখন থেকেই অভ্যাস করুন সবার নাম মনে রাখার, আর কথা বলার সময় শ্রোতার নামটা বলার। কারণ, প্রত্যেক মানুষের কাছে তার সবচেয়ে প্রিয় শব্দ হলাে তার নাম। আপনি যদি একজন মানুষের নাম মনে রাখেন এবং তার সাথে কথা বলার সময় সেটা ব্যবহার করেন তাহলে একটা সময় সেই মানুষটা নিজের অজান্তেই আপনার ভক্ত হয়ে যাবে। কাল থেকে রিকশাওয়ালা মামা, দোকানদার মামা, দারােয়ান মামাকে শুধু মামা না বলে তাদের নামটা নামের সাথে মামা যােগ করে সম্বােধন করুন।
আর দেখুন কী আপ্যায়নটাই না পেয়ে যান! লোকে কি বলবে pdf download
‘We count by changes and events within us. Not by years.
-Charles Dickens
A+ তাে পাইলা না, এখন কী করবা? ২০১১ সালে যেদিন আমার এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়, সেদিন আমার বন্ধুরা সবাই বাসায় জিপিএ ৫ নিয়ে ফিরেছিল। আমি পারি নাই। আমি ৪.৭ নিয়ে ফিরেছিলাম। মাত্র ০.৩ পয়েন্টের জন্য আমি যেন লজ্জায়-অপমানে মাটির সাথে মিশে যাচ্ছিলাম।লোকে কি বলবে pdf download
এই ০.৩ পয়েন্টই যেন আমাকে দেশের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করেছিল। বাবা-মা হতাশ ছিলেন, কিন্তু আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ যে, তারা তাদের হতাশা আমাকে বুঝতে দেননি। আমাকে বকাঝকা তাে দূরের কথা, হাতে টাকা দিয়ে ভাইবোেনকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসতে বলেছিলেন।
আমি যেদিন এইচএসসির রেজাল্ট পাই সেদিন হিসাব করে বুঝতে পারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ নম্বরের যেই মূল্যায়ন তার মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে যেই ৮০ নম্বর, সেখানে আমার আছে মাত্র ৭০.২৮। আমার বেশির ভাগ বন্ধুরই তখন ৮০। আমি প্রায় ১০ নম্বর পিছিয়ে আছি।
শতকরা হিসাবে সেটা মাত্র ৫ শতাংশ। তবুও মনে হলাে আমি যেন যােজন যােজন পেছনে আছি। তাই ঠিক করলাম, বন্ধুদের তুলনায় দ্বিগুণ পড়তে হবে, দ্বিগুণ এফোর্ট দিতে হবে। বন্ধুরা সিনেমা দেখতে যাচ্ছে, আমি যাচ্ছি না। বন্ধুরা ঢাকার বাইরে বেড়াতে যাচ্ছে আমি যাব না।লোকে কি বলবে pdf download
মাথার পেছনে ওই ১০ নম্বরের পিছিয়ে থাকা। মনকে বুঝ দেওয়া, এই তিনটা মাস ভালােমতাে খাটলে ওদের সাথে সব সময়ই ঘুরতে যাওয়া যাবে। মাত্র তাে তিনটা মাস।’