প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্টি pdf download free

নাম:- প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্টি pdf download
লেখক:- ঝংকার মাহবুব।
প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্টি pdf download প্রকাশনী :- আদর্শ।
পৃষ্ঠা:- ১৮১।
প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্টি pdf download সাইজ:- ৫০এম্বি।
ঝংকার মাহবুব ভাইয়ের প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্টি pdf download বইয়ের প্রথম অংশঃ–
টুকটাক টুকটাক করে প্রােগ্রামিং শিখেই যাচ্ছে অন্তু। কিন্তু সে কি ঠিক জিনিসগুলাে শিখছে? সঠিক রাস্তায় এগােচ্ছে? শেষ করতে আর কত দিন লাগবে? এ রকম হাবিজাবি প্রশ্ন রেগুলার তার মনের ভেতরে আঁকুপাঁকু করেই যাচ্ছে। কয়েক মাস ধরে রাশেদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে ভ্যারিয়েবল, if-else, লুপ, array, ফাংশন শিখে ফেলেছে সে।
প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্টি pdf download এ এরপর ডাটা স্ট্রাকচার, কিছু অ্যালগরিদম আর অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড কনসেপ্ট সম্পর্কেও জেনেছে। এরপর কী? আর কী কী শিখলে সে চাকরি পাবে? আর কত দিন লাগবে? সেই সৰ টেনশন নিয়েই বসছে লিটন ভাইয়ের দোকানে। আড্ডা দিচ্ছে রাশেদের সঙ্গে।
যেখানে রাশেদ একটানা কথা বলে যায় আর অন্তু চুপচাপ শােনে। ভাষণের Word Count করে চাইলে ভ্যাট ইদানীংকালে চা খেতে খেতে আড্ডা মারতে গেলে, টংয়ের বেঞ্চ গরম হওয়ার চেয়েও কান বেশি গরম হচ্ছে। কারণ দোকানের পাশেই চলছে নির্বাচনী ভাষণ। একজনের পর একজন এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বক্তৃতা দিয়েই যাচ্ছে তাে দিয়েই যাচ্ছে।প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্টি pdf download link!
বক্তৃতার চোটে যে একালাবাসীর কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে, সেই দিকে তাদের কোনাে খেয়াল নাই। তাই বাধ্য হয়ে রাশেদ একটা মেসেজ পাঠিয়ে দিছে অর্থমন্ত্রীর কাছে। ব্যস, তাতেই কাজ হয়ে গেল। পরদিন অর্থমন্ত্রী সব টিভি চ্যানেলে এসে ঘােষণা দিলেন, যেকোনাে মিছিল, কেউ 500 শব্দের বেশি বক্তৃতা দিলে প্রত্যেকটা এক্সট্রা শব্দের হারে ভ্যাট দিতে হবে।
সঙ্গে সঙ্গে এই ভ্যাট আদায় করার জন্য সব রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে NBR (National Board of Revenue)-এর লােকেরা ক্যালকুলেটর নিয়ে হাজির।প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্টি pdf download link!
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গুনছে কে কত শব্দ বক্তৃতা দিচ্ছে। কারও বক্তৃতা 500 শব্দের বেশি গেলেই গছাক করে ভ্যাটের নীল চালান ধরিয়ে নগদ ভ্যাট আদায় করে 10 টাকা নিচ্ছে।
শুধু ভ্যাট ট্যাক্সের লােকেরা যে শব্দ গােনে তা কিন্তু না। অনেক সময় অফিশিয়াল রিপাের্ট কিংবা সামারি লেখার সময় বলে দেওয়া থাকে যে সর্বোচ্চ 500 শব্দের মধ্যে রিপাের্ট জমা দিতে হবে বা ভাবসম্প্রসারণ লেখার সময় 200 শব্দের মধ্যে লিখতে হবে।
আপাতত শব্দ গােনার চিন্তা বাদ দিয়ে চিন্তা কর যে তুই রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছস। যাইতে যাইতে দেখস যে ট্রেন আসতেছে।
এখন তুই যদি।এই ট্রেনের কয়টা বগি আছে গুনতে চাস । তাহলে সেটা কীভাবে গুনবি? ধর, তুই প্রথমেই দেখবি ট্রেনের ইঞ্জিন। ইঞ্জিন যাওয়ার পরপর দেখবি একটা শিকল দিয়ে ইঞ্জিনের সাথে পরের বগি কানেক্ট করা আছে। তুই যখনই ইঞ্জিনের পরে শিৰ দেখছ, তখনই বুঝে যাস একটা বগি পার হয়ে গেছে।
অর্থাৎ দুইটা বগির মধ্যে গ্যাপ দেখেই বুঝে ফেলস একটা বগি পার হয়ে গেছে। এভাবে যতবার দুইটা বগির মাঝখানের গ্যাপ দেখবি, ততবার একটা করে বগি গুনবি। তার মানে বগি কয়টা আছে, সেটা গাে জন্য দুইটা বগির মাঝখানের গ্যাপ খেয়াল করে করে গুনতে হয়।প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্টি pdf download link!!
ধর, তুই রেললাইনের পাশে কপােত-কপােতীদের হাত ধরে বসে থাকতে।দেখে নিজের অজান্তেই একটা গান গেয়ে উঠলি— ar koto rat eka thakbo. এই যে আর কত রাত একা থাকব একটা লাইন। এই লাইনের মধ্যে কয়টা।শব্দ আছে, সেটা কীভাবে গুনবি? খানেও ট্রেনের মতাে প্রথম থেকে দেখা শুরু করবি।
একদম প্রথমে a, তারপর আছে , তার মানে এখনাে কোনাে শব্দ হয় নাই। তারপর ar-এর পর যখন দেখবি একটা খালি জায়গা।
তখনই তুই বুঝে ফেলবি ar একটা শব্দ। তার মানে তুই একটা শব্দ পেয়ে গেছস। আরেকটু আগাইতে থাকলে দেখবি koto-এর পরে আরেকটা খালি জায়গা আছে। তখনই তুই বুঝে ফেলবি আরেকটা শব্দ পেয়ে গেছস। তার মানে শব্দ গােনার সময় তুই একটার পর একটা বর্ণ দেখলে সামনে আগাইতে থাকবি। আর যখন একটা খালি জায়গা দেখবি, তখন ধরে ফেলবি।
সেখানে একটা শব্দ শেষ । এই জিনিস তুই সারা জীবন ধরেই জানস। হয়তাে আগে ভালাে করে খেয়াল করস নাই। এখন একটু খেয়াল কর তাইলেই কাজ হয়ে যাবে। এই যে একটা শব্দের পর খালি জায়গা থাকে।
অর্থাৎ দুইটা শব্দের মাঝখানে একটা খালি জায়গা থাকে বা গ্যাপ থাকে। যাতে দুইটা শব্দকে আলাদা করা যায়। এই খালি জায়গা বা গ্যাপকে ইংরেজিতে বলে হােয়াইট স্পেস (“”)। হােয়াইট স্পেস (white space) বা দুইটা শব্দের মধ্যে খালি জায়গা না থাকলে একটা শব্দের সাথে আরেকটা শব্দের ঘেষটাঘেষটি লেগে যেত। আর কোনাে গ্যাপ না থাকলে শব্দগুলাে পড়া যেত না।
এবার ফিরে আয় সেই রাজনৈতিক বক্তৃতার কথায়। যেসব নেতা ভাষণ দেয় তারা কিন্তু সব সময় একই ভাষণ দেয় না; বরং আজকে একটা ভাষণ দেয়।
কালকে আরেকটা ভাষণ দেয়। অর্থাৎ ভাষণ বা বক্তৃতা চেইঞ্জ হচ্ছে বা ভ্যারি (vary) করতেছে। আর কোনাে কিছু ভ্যারি করলে সেটাকে প্রােগ্রামিংয়ের ভাষায় বলে ভ্যারিয়েবল (variable)। এই ভ্যারিয়েবল লেখা খুবই সােজা।
জাস্ট variable শব্দটার প্রথম তিনটা বর্ণ অর্থাৎ var লিখবি, তারপর ভ্যারিয়েবলের যে নাম দিবি সেটা লিখবি। তুই নাম দিলি বক্তৃতা (boktrita)।
তারপর সমান চিহ্ন দিয়ে সেই ভ্যারিয়েবলের মান বসিয়ে দিবি। মনে রাখবি, যখন কোনাে কিছুর মান বা উপাদান এক বা একাধিক বর্ণ দিয়ে প্রকাশ করা হয় তখন সেই বর্ণ বা বর্ণসমষ্টির আগে এবং পরে কোটেশন দিতে হবে। তাের বক্তৃতা যেহেতু অনেকগুলাে বর্ণ বা বর্ণের সমষ্টি, তাই দুইটা কোটেশনের মধ্যে এই বক্তৃতার মান লিখবি নিচের মতাে করে।
var boktrita = “Agami eid er por andolon hobe.”; তাের মেইন টার্গেট হচ্ছে কতগুলাে শব্দ আছে, সেটা গণনা করা। আর কতগুলাে শব্দ হবে, সেটা কিন্তু নির্দিষ্ট থাকবে কোনাে দিন 10টা, কোনাে দিন 5টা আবার কোনাে দিন 500টাও হতে পারে। তার মানে কতগুলাে হবে, সেটাও ভ্যারি করতেছে।
তাই সেটার জন্য তুই আরেকটা ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ার করবি। আর এইটার নাম দিলি count আর গণনা শুরু করার আগে অর্থাৎ বক্তৃতা শুরু করার আগে যেহেতু কোনাে শব্দ বলে নাই। তাই count নামক ভ্যারিয়েবলের প্রাথমিক মান হবে শূন্য। সেটা নিচের মতাে করে লিখৰি।
var count = 0;
এখন তাের কাজ হচ্ছে boktrita নামক ভ্যারিয়েবলে যত বর্ণ আছে, সেগুলাে ঘুরে ঘুরে দেখা কোনাে জায়গায় হােয়াইট স্পেস বা খালি জায়গা আছে কি । যদি খালি জায়গা থাকে তাহলে তুই তাের শব্দ গণনার মান, অর্থাৎ count ভ্যারিয়েবলের মান এক বাড়াবি।
তবে সেটা বাড়ানাের আগে যেই জিনিসটা খেয়াল করতে হবে, সেটা হচ্ছে তাের খালি জায়গা খোঁজার কাজটা বারবার করতে হবে। আর কোনাে একটা কাজ বারবার করা লাগলে সেটার জন্য লুপ লিখতে হয়। সেই লুপ কয়েকভাবে লেখা যায়। তবে আজকে লেখ for লুপ দিয়ে।
তুই যেহেতু for লুপ লিখবি তাই প্রথমেই for শব্দটা লেখবি। তারপর দুইটা প্রথম ব্র্যাকেট দিয়ে সেই ব্রাকেটের ভেতরে একটা ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ার করবি। সেই ভ্যারিয়েবলের নাম । দিবি। এই । ভ্যারিয়েবলটা ডিক্লেয়ার করা হইছে লুপ চালানাের জন্য।
আর এই ভ্যারিয়েবলের প্রাথমিক মান হচ্ছে ০ সে জন্যই লিখবি vari = 0 তারপর একটা সেমিকোলন দিবি। তাের লুপের কাজ হচ্ছে শব্দ গণনা করা, তাই বক্তৃতা যতক্ষণ চলবে, শব্দ গণনা ততক্ষণ চলবে।
এইটাকে প্রােগ্রামিংয়ের ভাষায় বলা যায় তাের লুপ ভ্যারিয়েবল। ততক্ষণ পর্যন্ত চলবে, যতক্ষণ পর্যন্ত boktrita ভ্যারিয়েবলের দৈর্ঘ্য আছে। অর্থাৎ -এর মান বক্তৃতার দৈর্ঘ্যের চাইতে ছােট হলেই লুপ চলতে থাকবে।
বক্তৃতার দৈর্ঘ্য বের করা খুবই সােজা। জাস্ট boktrita লিখবি। তারপর ডট চিহ্ন দিয়ে length লিখে দিবি। তাই তার boktrita নামক ভ্যারিয়েবলের দৈর্ঘ্য হচ্ছে boktrita.length। এই -এর মান যতক্ষণ পর্যন্ত boktrita.length-এর মানের চাইতে ছােট হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত লুপ চলবে।
আর ছােট বুঝতে less than চিহ্ন (<) দেওয়া হয়। তাই তুই । <।boktrita.length লিখবি। এখন for লুপের ভেতর boktrita.length force তারপর একটা সেমিকোলন দিয়ে দিবি for লুপের ব্র্যাকেটের ভেতরে আরেকটা জিনিস লিখতে হবে, সেটা হচ্ছে ।
-এর মান প্রতিবার এক এক করে বাড়াতে হবে। লুপ চলে । দিয়ে। তাই ।-এর মান এক করে বাড়ানাের জন্য ।-এর পরে দুইটা যােগ চিহ্ন দিয়ে দিবি। ++ লিখে। আর মনে রাখবি যেকোনাে ভ্যারিয়েবলের পরে দুইটা প্লাস চিহ্ন (++) থাকলে সেই ভ্যারিয়েবলের মান এক এক করে বাড়ানাে হবে।
সবশেষে তােকে দুইটা সেকেন্ড ব্র্যাকেট দিতে হবে। লুপ চালানাের পর যেসব কাজ করতে হবে, সেগুলাে এই সেকেন্ড ব্র্যাকেটের ভেতরে করতে হবে।
তাের অস্থির for লুপটা দেখতে নিচের মতাে হবে—for(var i = 0; i < boktrita.length; i++X}
যখন লুপ চালাবি, তখন লুপের ভেতর থেকে একটা বর্ণ নিয়ে দেখতে হবে সেটা হােয়াইট স্পেস কি না। অর্থাৎ তুই বক্তৃতার এক পাশ থেকে দেখা শুরু করবি। একটু একটু করে আগাইতে থাকবি আর চেক করবি কোনাে হােয়াইট স্পেস পাওয়া যায় কি না। যদি হােয়াইট স্পেস হয় তাহলে শব্দ গণনার মান….To be continued…..