প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল pdf download

নাম:- প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল pdf download.
প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল pdf লেখক:- ঝংকার মাহবুব।
প্রকাশনী:- আদর্শ।
পৃষ্ঠা:- ১২৫।
প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল pdf download সাইজ:- 12MB.
ঝংকার মাহবুব ভাইয়ের প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল pdf বইয়ের প্রথম অংশ:- ভুল করে কেউ এভারেস্ট জয় করে না
– কিরে লুজ, তুই এইখানে কী করস?
(নিজের ব্যঙ্গাত্মক নাম শুনে মাথা তুলে তাকায় নুয়াজ। দেখে সােহান ভাই। অন্য কেউ হলে বিশাল একটা ঝাড়ি মারত। কিন্তু সােহান ভাইকে কিছু বলা যায় না। সােহান ভাই, ওনার ব্যাচের থার্ড আবার ডিপার্টমেন্টের ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন। তাই নিজেকে সামলে নিয়ে নরম সুরে বলল ।)
ভাই, আমার নাম কিন্তু, ‘লুজ’ না । আমার নাম নুজ’ ও না। বাপ-মা আমার নাম রাখছে নুয়াজ।
– সে যা-ই হােক, চল ক্যাফের দিকে যাই। একটা মিটিং আছে।
না ভাই । আজকে থাক। খুবই প্যারার মধ্যে আছি।
– কিসের প্যারা? লুজের কি লুজ মােশন শুরু হইছে নাকি?
কী যে বলেন ভাই! ভাবছিলাম এইবার রেজাল্টাটা ভালাে করে ফেলব। পরীক্ষার আগে তিন সপ্তাহ ধুমাইয়া পড়লাম । কিন্তু যেই লাউ সেই কদু।
– ও এই কথা। কালকের রেজাল্ট তুই আজকেও ভুলতে পারস নাই। এই বলে নুয়াজের পাশে বসতে বসতে সােহান ভাই বলতে শুরু করল, শুন— ভুল করে কেউ এভারেস্ট জয় করে ফেলে না। আন্দাজে দাগায় কেউ বিসিএসে টিকে যায় না। হুট করে কেউ হার্ভার্ড-এমআইটির স্কলারশিপ পেয়ে যায় না। দুই-তিন সপ্তাহ পড়ে কেউ ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে যাবে না। কারণ প্রেস্টিজিয়াস কোনাে কিছুই সহজ না। সহজ কোনাে কিছুই প্রেস্টিজিয়াস না।
সে জন্যই লাইফটাকে সিরিয়াসলি চেইঞ্জ করতে চাইলে, লাইফের একটা সময়, প্রেস্টিজিয়াস একটা গােল সেট করে পাগলা কুত্তার মতাে খাটতে হবে । সবকিছু থেকে নিজেকে ডিসকানেক্ট করে বন্ধ ঘরে সাধনা চালাতে হবে। হিট মুভি, হট নিউজ, ফাটাফাটি খেলা, কাটাকাটি ভাইরাল, এগুলাে এক একটা ডিস্ট্রাকশন । টার্গেট এচিভ না হওয়া পর্যন্ত এগুলােকে ইগনাের করতে হবে। লক্ষ্যে পৌছানাের ব্যাপারে একরােখা হতে হবে। ক্রেজি লেভেলের হার্ডওয়ার্ক করতে হবে। এক দিন, দুই দিন করে করে সপ্তাহের পর সপ্তাহ; মাসের পর মাস লেগে থাকলে একটু একটু করে চেইঞ্জ হতে শুরু হবে।
বিগিনার লেভেল থেকে এক্সপার্ট হয়ে যাবে না। যে সফটওয়্যার, যে । ওয়েবসাইট, যে বন্ধু, যে আচ্ছা তােকে তাের টার্গেটে এগিয়ে যাওয়ার। কারণ এক রাতে বীজ থেকে গাছ হয়ে ফল দেবে না। এক রাতে কেউ জন্য হেল্প করছে না। তার সঙ্গে এক ঘণ্টা সময় কাটানাের মানে, টার্গেট থেকে ১০ ঘণ্টা পিছিয়ে যাওয়া।
সে জন্যই লাইফের একটা সময়, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটা মুহূর্তের জন্য। খুঁতখুঁতে হতে হবে। সিলেক্টিভ হতে হবে। প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটা পদক্ষেপ তামা তামা বানায় ফেলবি। দরকার হলে অল্প কিছুদিন নিজের জন্য স্বার্থবাদী হয়ে লাইফের পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম বাড়ায় নিবি। অন্যের খুশির চাইতে নিজের ফিউচারকে বেশি প্রায়ােরিটি দিবি।
তাহলেই ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর পর স্পেশাল কেউ হতে পারবি। প্রেস্টিজিয়াস কিছু করতে পারবি।
প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল pdf :- সময় ড্রেনে ফেললে, টার্গেট এচিভ হয় না।
ভাই, শুধু কি রেজাল্টের প্যারা? আমি ফ্যামিলির বড় ছেলে। সেটার প্যারা । একটা টিউশনি আছে। সেটাও যায় যায় অবস্থা। এদিকে ভাবছিলাম ভিডিও এডিটিংটা ভালাে করে শিখব। সেটাও হচ্ছে না। পেটের মধ্যে বােমা মারলেও দুইটা ইংরেজি শব্দ বের হয় না। লাইফ পুরাই প্যারাময় হয়ে গেছে।
তুই তাে দেখি প্যারা খেয়ে ট্যারা হয়ে গেছস। এখন তাের প্যারাময়তা কমাতে প্যারাসিটামল দেওয়া লাগবে । শুন—
ভালাে রেজাল্ট করা, প্রেস্টিজিয়াস চাকরি পাওয়া, ফ্যামিলি সাপাের্ট করা, ইংরেজির জাহাজ হওয়া কিংবা হায়ার স্টাডি করতে চাওয়া—যেটাই তাের টার্গেট হােক না কেন। সেটা নিয়ে এক মিনিট চিন্তা করে দেখ। যদি তাের মাথায় চার-পাঁচটা টার্গেট একসঙ্গে চলে আসে তারপরেও জাস্ট একটা নিচে লেখ। কারণ তুই একই সময়ে পাচটা বার্থডে পার্টিতে যেতে পারবি না। একসঙ্গে পাঁচটা সমস্যার সমাধানও করতে পারবি না। তাই চিন্তা করে দেখ । তাের কোন সমস্যাটা আগে সমাধান করার দরকার ।
কোন টার্গেটটাতে আগে ফোকাস করা উচিত। যাতে তুই শুধু একটা জিনিসে সিরিয়াস হতে পারস। সেই টার্গেটাই এই কাগজে লেখ।
প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল pdf :-তাের টার্গেট ;
তুই যে টার্গেট সেট করছস, সেটা হচ্ছে তাের সামনে এগােনাের ডিরেকশন সেটা হচ্ছে তাের কম্পাস। তাের কম্পাসের কাটা যেদিকে থাকবে তােকে সেদিকে এগােতে হবে। এখন আরেকটু চিন্তা করে দেখ যে তুই আজকে সারা দিনে যা যা করছস। তার বেশির ভাগ জিনিসই কি তােকে তাের টার্গেটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? তাের টার্গেট এচিভ করতে হেল্প করছে? নাকি আজাইরা বাজাইরা ভুজং-ভাজং করতে করতে সারাটা দিন পার করেবদিচ্ছস?
শুন, আমরা সারা দিনে যে যে কাজ করি, সেগুলােকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—লিভিং, ড্রাইভিং আর ড্রেইনিং।
লিভিং হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য যে কাজগুলাে সবাইকে করতে হয়। যেমন : খাওয়া-দাওয়া, ঘুমানাে, গােসল করা, বাথরুম করা, এই সব। এইগুলাে । তােকে করতেই হবে। কোনাে ছাড় নাই। এই লিভিং ছাড়া বাকি যে কাজগুলাে করস, সেগুলােকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক হচ্ছে ড্রেইনিং,
আরেকটা হচ্ছে ড্রাইভিং । ড্রেইনিং হচ্ছে সেই কাজ, যেগুলাে আজকের পর আর কোনাে কাজে লাগবে। ধর তুই যদি আজকে সারা দিন টিভি দেখে, ইউটিউবে মিউজিক ভিডিও দেখে কাটিয়ে দেস, আজকের দিনটার এই কাজগুলাে তােকে ফিউচারে কোনাে হেল্প করবে না। সামনে এগিয়ে নিতে কাজে লাগবে না। অর্থাৎ এই কাজগুলাে করতে যে সময় দিছস, সেই সময়গুলাে ড্রেনে চলে যাচ্ছে।প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল pdf
আর তুই যদি আজকে কিছু একটা শেখার চেষ্টা করস। নতুন স্কিল ডেভেলপ করার চেষ্টা করস। সেটা ফিউচারে চাকরিতে হেল্প করবে। তুই যদি বইয়ের একটা চ্যাপ্টার পড়ে শেষ করস। তাহলে সেটা ছয় মাস পরে পরীক্ষায় হেল্প করবে। আজকে তুই যদি ১০টা ইংরেজি ওয়ার্ড শেখার চেষ্টা করস, তাহলে ইন্টারভিউ বাের্ডে ইংরেজিতে উত্তর দিতে কাজে লাগবে। সে জন্যই এ কাজগুলাে হচ্ছে ড্রাইভিং। তােকে ড্রাইভ করতেছে। সামনে এগিয়ে নিচ্ছে।
একটা লক্ষ্যের দিকে টেনে নিচ্ছে। তাই সারা দিনে তাের ড্রেইনিংয়ের চাইতে ড্রাইভিং যত বেশি হবে, তাের ফিউচার তত পােক্ত হবে । মনে রাখবি, সময় ও সিঙ্গেল মেয়ে কারও জন্য এক সপ্তাহের বেশি অপেক্ষা করে না। আলাপ শেষ করে দুজনই হাঁটা দিল ক্যাফের দিকে। মিটিংয়ে জয়েন করতে । যদিও নুয়াজ জানে না কিসের মিটিং। তা-ও সােহান ভাইয়ের সাথে যাচ্ছে।প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল pdf =
লাইফ করলে অডিট, বাড়বে ক্রেডিট :- মিটিং শেষ হতে হতে সন্ধ্যা ছয়টা বেজে গিয়েছিল। তাই সেখান থেকে ডাইরেক্ট টিউশনিতে চলে গেছে নুয়াজ। টিউশনি থেকে ফিরে, ডিনার করে রুমে ফিরতে ফিরতে রাত ১০টা। কিছুটা ক্লান্তি লাগলেও বসে বসে নুয়াজ ভাবল, সােহান ভাইয়ের কথাটাই ঠিক এক্স-রে, MRI, ECG না করলে বােঝা যাবে না হাড়ি কই ভাঙছে, হার্টের কোথায় প্রবলেম হইছে। একইভাবে মাঝেমধ্যে লাইফের স্ক্যানিং না করলে বােঝা যাবে না স্বপ্নগুলােকে কে ভেঙে দিচ্ছে। চেষ্টাগুলােকে কে খেয়ে ফেলছে। সফলতাগুলাে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে। প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল pdf download .