ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download Munir hasan book

নাম:- ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download
ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download লেখক:- মুনির হাসান।
পৃষ্ঠা:- ১২১
সাইজ:- ১৬ এম্বি।
ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download প্রকাশনী:- আদর্শ।
ভূমিকার পরিবর্তে ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download :-
আমি নিজে একজন ভূমিকাবাজ লেখক। গণিত অলিম্পিয়াড ও অন্যান্য কাজকর্মের ফলে অনেক তরুণ আমার কাছে অনুরােধ নিয়ে আসে, তাদের বইয়ের ভূমিকা লিখে দিতে। লেখালেখির লাইনে তাদের প্রায় সবাই নতুন। ফলে অন্য কেউ তাদের ভূমিকা লেখার রিস্ক নিতে চান না। কিন্তু আমি তাে আর না করতে পারি না।
কাজেই গণিত, বিজ্ঞান বা প্রােগ্রামিং ক্যাটাগরির অসংখ্য বইয়ের ভূমিকাই আমার লেখা। তাে, এ রকম একটা লােকের নিজের বইয়ে কোনাে ভূমিকা থাকবে না এইটা আবার কেমন মানবতা?
এই ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download বইটা আমি কেন লিখলাম? যদি বলতে পারতাম- এই ধরেন, ভাল্লাগে। খুশিতে,ঠ্যালায়। তাহলেই বােধ হয় ঠিক হতাে। আমি মূলত মনের আনন্দেই লিখি। কিন্তু বাংলাদেশ ওপেন সাের্স নেটওয়ার্কের (www.bdosn.org) উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম ‘চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব’ (www.uddokta.net) করতে গিয়ে দেখলাম আমাদের দেশে উদ্যোগ ও উদ্যোক্তাবিষয়ক বই কম।
বাংলা ভাষায় সে রকম ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download বই নেই বললেই চলে। এমনকি ইংরেজি বইগুলাে সেভাবে পাওয়া যায় না। নানাজনকে উসকানি দিয়েছি বই লেখার জন্য। তারপর ভাবলাম থাক নিজেই চেষ্টা করি। প্রথমে গাদা গাদা বই পড়তে শুরু করলাম। পড়তে পড়তে দুইটা বই ভালাে লেগে গেল।
একটা রায়ান হলিডের ‘গ্রোথ হ্যাকার মার্কেটিং। আমার বুয়েট-জীবনের ঘাত-প্রতিখাতের আখ্যানগ্রন্থ “পড়াে পড়াে পড়াে’র মার্কেটিং করতে গিয়ে আমি যা যা করেছি সেগুলােই নাকি গ্রোথ হ্যাক টেকনিক!!!
তারপর আরও ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে দেখলাম এই কৌশলগুলাে চালু হয়েছে হটমেইলের আমল থেকে, সাবির ভাটিয়াদের হাত ধরে। গ্রোথ হ্যাক নিয়ে আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলাে কী করে, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলােতে কী শেখানাে হয় এসব খোঁজখবর নিতে গিয়ে জানলাম, আমাদের দেশে এগুলাে ফর্মালি পড়ানাে হয় না এবং সবচেয়ে বড় কথা এর কোনাে বাংলা ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download এর মত কোনো বইও নেই।
তাে, ভাবলাম এটি অনুবাদ করে ফেলা যাক। অনুবাদ করতে গিয়ে ভাবলাম, শুধু বিদেশি উদাহরণ দিয়ে আমাদের কী লাভ? নিজেদের উদাহরণ দিতে না পারলে তাে কেউ এটা বুঝবেও না, কাজেও লাগাতে পারবে না। কাজেই রায়ানের বই এবং নিজের অভিজ্ঞতাকে খুঁটা দিয়ে লিখে ফেললাম, ‘গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং।
দেখলাম লােকে বইটি পড়ছে। তারপর কয়েকজনকে পাওয়া গেল যারা জানাল, তারা শুধু পড়েইনি, কাজেও লাগিয়েছে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের ইনােসেন্ট কোম্পানির শরবতের ইতিহাস আর জার্নি পড়ে ফেললাম এবং দেখলাম আরে এ তাে দেখি আমাদের উদ্যোক্তাদের গল্প। কাজেই ‘শরবতে বাজিমাত’ও প্রকাশিত হলাে।
২০১৮ সালের মাঝামাঝি এসে ভাবলাম আমার এই গরিব কিন্তু পরিশ্রমী উদ্যোক্তাদের জন্য আরও বই লেখা দরকার। দুটো বইয়ের কথা ভাবলাম। একটি হলাে ‘হাতে-কলমে গ্রোথ হ্যাকিং’। মানে ধাপে ধাপে কীভাবে গ্রোথ হ্যাকিংয়ের নিয়মকানুন, কলাকৌশল নিয়ে কাজ করবে তার একটা গাইড বই। কাজও শুরু করলাম।
কিন্তু অচিরেই টের পেলাম গ্রোথের সঙ্গে ভালােবাসা আর আবেগের একটা বড় সম্পর্ক আছে। আর মার্কেটারদের আবেগ ব্যবহারের হারও বেড়ে গেছে নানাবিধ কারণে।
প্রথম কারণটা অবশ্যই ইন্টারনেট আর সােশ্যাল মিডিয়া। ইচ্ছে করলেই যেকোনাে প্রতিষ্ঠান এখন কোনাে টাকা খরচ না করেই একটি ভিডিও কমার্শিয়াল ইউটিউবে ছেড়ে দিতে পারে। তারপর সেটির ক্যাম্পেইন করতে পারে সােশ্যাল মিডিয়ায়। বড় বড় ব্র্যান্ডও এখন সােশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা শুরু করেছে।
যদিও টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়ারও টাকা তাদের আছে। আবার মােবাইল ফোনের মাধ্যমে যে কেউ ভিডিও বানিয়ে সােশ্যাল মিডিয়ায় পােস্ট করে ফেলতে পারে।
কাজটা এখন খুবই সহজ। মার্ক জাকারবার্গের ফেসবুকসহ সােশ্যাল মিডিয়াগুলাে মার্কেটারদের সামনে এক নয়া দুনিয়ার সন্ধান এনে দিয়েছে। এখন আপনি ইচ্ছে করলেই আপনার অডিয়েন্সের সঙ্গে ‘রিয়েল টাইমে’ কথা বলতে পারেন, অবসরে তাদের মন্তব্যের জবাব দিতে পারেন।
এবং হয়ে উঠতে পারেন তাদের নানা আয়ােজন, বিপদ-আপদের পরিত্রাতাও। আমি বাংলাদেশের একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে চিনি যারা তাদের গ্রাহকের কাছে নিজেদের একটি বিশেষ চরিত্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। সেটি হলাে তারা খুবই আন্তরিক।
আমি দেখেছি অনেক খদ্দের তাদের ফোন করে বলেন, “আমি জানি আপনারা “অমুক” জিনিসটা বিক্রি করেন না। কিন্তু আমাকে যদি এনে দেন তাহলে খুশি হই। ওই প্রতিষ্ঠান তখন তার ইনভেন্টরির বাইরে গিয়ে “অমুক’ জিনিসটা কিনে আনে ও সরবরাহ করে! এ কদিন আগেও কোনাে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার খদ্দেরের এমন সম্পর্ক তৈরি হওয়াটা বলতে গেলে সম্ভবই ছিল না।
কিন্তু এখন এ রকম একটি ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। অন্যদিকে, এখন প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই তাদের পণ্যসেবার প্রসারের জন্য সব রকমের চ্যানেল ব্যবহার করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং কিন্তু সেলসম্যানমার্কেটারদের জন্য নতুন নতুন সব ধারণার জন্ম দিচ্ছে প্রতিদিন আর সেসব নিয়ে লাখাে মার্কেটার ঝাঁপিয়ে পড়ছে সব চ্যানেলে।
ফলে আগের তুলনায় এখন আপনার মুখ ঢেকে যাচ্ছে বিজ্ঞাপনে। এত সব চ্যানেল, এত সহজে বিজ্ঞাপনের কারণে মার্কেটারদের কাজ কিন্তু কঠিন হয়ে যাচ্ছে!!!
মার্কেটারদের কিংবা উদ্যোক্তাদের তাহলে বের হয়ে আসার, অনেকের ভিড়ে আলাদা থাকার উপায় কী? উপায় হলাে নিজেকে আলাদা করতে শেখা। কেমন করে?ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download.
ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download হালাল সাবানের মাজেজা :-
গেল শতকের, নব্বই দশকের কথা। হুট করে একটি দেশি কোম্পানির সাবান বাঘা বাঘা বহুজাতিক কোম্পানির সাবানকে পেছনে ঠেলে দিয়ে মার্কেট দখল করে নিল। এটাও কী সম্ভব?
হ্যাঁ সম্ভব। ভারতের প্রথম স্বাধীনতাযুদ্ধ, সিপাহি বিদ্রোহের কথা জানেন তাে? ১৮৫৭ সালের আগে থেকেই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সামরিক নানা কারণে দেশি সিপাহিদের মন তেতে ছিল। সেই ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিল এনফিল্ড নামক এক রাইফেল (Enfield Rifle)। এই রাইফেলে যে কার্তুজ (Cartridge) ব্যবহার করা হতাে, তার খােলসটি দাঁতে কেটে রাইফেলে ভরা লাগত। গুজব রটে যায়, এই কার্তুজে গরু ও শুয়ােরের চর্বি মেশানাে আছে।
এটি শুনে মুসলিম ও হিন্দু সিপাহিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং এই টোটা ব্যবহার করতে অস্বীকার করে বসে। শুরু হয়ে যায় এমন বিদ্রোহ, ইতিহাসে যা মহাবিদ্রোহ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
সাবান তৈরিতেও পশুর চর্বি ব্যবহার করা হয় এ রকম একটি গুঞ্জন। বাজারে চাউর ছিল। আর পশুর চর্বি শুনলেই আমাদের সন্দেহ হয়, শুয়ােরের চর্বি নাকি (মহাবিদ্রোহের সেই লােকশুতি হয়তাে এর কারণ)? এই সন্দেহ নিয়েও লােকজন কিন্তু সাবান ব্যবহার করত।
কারণ তাদের কাছে কোনাে বিকল্পও ছিল না। ঠিক এ সুযােগটিই লুফে নেন সৈয়দ আলমগীর। তিনি অ্যারােমেটিক বিউটি সােপ প্যাকেটের গায়ে লিখে দেন ‘একমাত্র ১০০ ভাগ হালাল সাবান।
এর পরের ইতিহাস মার্কেটিং গুরু ফিলিপ কটলারেরও জানা। মার্কেটিংয়ের বাইবেলখ্যাত তার প্রিন্সিপলস অব মার্কেটিং বইয়ের ১৩তম সংস্করণে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়। হালাল সাবানের এই আইডিয়াটি বিশ্বব্যাপী এতটাই স্বীকৃতি লাভ করে যে, এখনাে ইউরােপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খাবারের দোকানগুলােতে হালাল মিট, হালাল শপ ইত্যাদি ব্যানার, সাইনবাের্ড লাগানাে হয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে হালাল সাবানের মতাে আবেগীয় বিষয়গুলাে সামনে নিয়ে এসে প্রচার-প্রচারণা এবং মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করলে কি সেটা অনেক ভালাে হয়?
উত্তর হচ্ছে, হয়। ইমােশনাল মার্কেটিং / ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download আনকোরা কোনাে বিষয় নয়। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইমােশনাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ-কারবার হচ্ছে। বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলাের মার্কেটিং বিভাগগুলাে এসব পড়ায়, কেস স্টাডি করে। কাজেই ব্যাপারটা নতুন নয়।
তবে, আমি একাডেমিক ও তাত্ত্বিক জায়গা থেকে না দেখে, প্রায়ােগিক জায়গা থেকে এটা দেখার চেষ্টা করেছি। আমাদের বেশির ভাগ নতুন উদ্যোক্তারই মার্কেটিংয়ে খুব একটা বাজেট থাকে না।
তা ছাড়া প্রায় সবাই ওয়ানম্যান আর্মি। তারা কীভাবে এ ধরনের মার্কেটিংয়ের সুবিধা পেতে পারে। উদ্যোক্তাবান্ধব দেশগুলােতে ডামিস বা হাবলুদের জন্য প্রচুর বইপত্র লেখা হয়। আমাদের দেশে এর বড়ই আকাল। ফলে অনেক উদ্যোক্তা এখনাে মার্কেটিংক আলাদা কিছু ভাবে। আমার ‘গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং’ বইয়ে আমি চেষ্টা করেছি এ কথাটা বলতে যে মার্কেটিং কিন্তু এখন আর আলাদা কোনাে বিষয় নয়। যেকোনােভাবে কাস্টমারদের কাছে।
পৌঁছানাের নামই / ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download মার্কেটিং। সেটি যদি হয় ওয়েবসাইট ঠিক করে, টুইকিং করে, ডিজাইন চেঞ্জ করে তাহলেও সেটা মার্কেটিং। সেটি যদি হয় ই-মেইলে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালানাে হলেও সেটা মার্কেটিং। আবার এ রকম যদি হয় যে মােড়কটা পাল্টে ফেললেও সেখানে একটা ভালাে লিড পাওয়া যাবে তাহলে সেটাও মার্কেটিং!
আমার এসব উদ্ভট ধারণার কারণ হলাে আমি মার্কেটিংয়ের ছাত্র নই। ফলে, আমি মার্কেটিংয়ের প্রথাগত ধারণার বৃত্তে বন্দী নই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই মার্কেটিংয়ের জন্য কাস্টমারের আবেগকে কীভাবে কাজে লাগানাে যায়? যদিও আবেগ একটি ক্ষণস্থায়ী ব্যাপার।
তাই শুধু আবেগকে কাজে লাগিয়ে যেমন দীর্ঘদিন বাজার ধরে রাখা যায় না আবার ঠিক তেমনি খুব মানসম্মত প্রােডাক্ট দিয়েও কিন্তু কাস্টমারের আস্থা অর্জন করা যায় না। এর সঙ্গে বাড়তি কিছু দরকার। সেই বাড়তি কিছু কীভাবে তৈরি করা যেতে পারে তা নিয়ে অনেক কিছু ভাবার আছে। একটা বিষয় আমরা সব সময় খেয়াল রাখি সেটা হলাে কীভাবে আমরা আরও ভালাে করতে পারি।
আমাদের দেশে আবেগকে ব্যবহার করে খুব ভালাে ব্যবসা করেছে। আজাদ প্রােডাক্টস। আজাদ প্রােডাক্টস তাদের যে কার্ডগুলাে তৈরি করত তার মূল কাস্টমার ছিল তরুণ-তরুণী-যাদের কাছে।
প্রেম-ভালােবাসার মতাে আবেগী বিষয়গুলাে ছিল মুখ্য। আর এই আবেগকে পুঁজি করেই কিন্তু আজাদ প্রােডাক্টসের সব উপাদান তৈরি হয়েছে। বিশ্বজুড়েই এমন আবেগের অনেক কারবারি আছে যাদের মধ্যে হলমার্ক অন্যতম। হলমার্ক পৃথিবীর সবচেয়ে পুরােনাে গ্রিডিংস কার্ড কোম্পানি।
তারা প্রায় ১০০ বছর ধরে কার্ড তৈরি করে যাচ্ছে। তাে, এটা হলাে আবেগীয় বিষয়কে পুঁজি করে ব্যবসা করা। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দেখা যায় অসংখ্য ফেরিওয়ালা রাস্তায় রাস্তায় জাতীয় পতাকা বিক্রি করছে এবং জনগণ কিনছেও দেদার।ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download
(আমার প্রিয় দৃশ্যগুলাের একটি)। আবার আমাদের দেশে ফটোর…….To be continued……